বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জীবনী – Sheikh Mujibur Rahman Biography in Bengali – শেখ মুজিবর রহমানের বাংলা জীবনী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভূমিকা – Introduction Of Sheikh Mujibur Rahman
“যতদিন রবে পদ্মা, মেঘনা, গৌরী, যমুনা বহমান ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান” অন্নদা শঙ্কর রায় কোনো জাতি যখন প্রকৃতই কোনো সংকটের সম্মুখীন হয় তখন সেই জাতিব পরিত্রানের উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে আবির্ভাব ঘটে কোনো না কোনো মহাপুরুষের, বাংলাদেশের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমনই এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক স্বরূপ ‘বাংলাদেশ’ নামটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন তিনি, তিনি। পরাধীনতার শেকল থেকে বাঙালিকে অজাতিকে মুক্ত করতে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে যার নাম চিরস্মরণী হয়ে আছে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর সীমাহীন দেশ প্রেমের ফসল হল বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সেজন্যই স্বাধীন বাংলাদেশ তাকে দিয়েছে জাতির জনকের সন্মান।
শেখ মুজিবর রহমানের জন্মপরিচয় – Sheikh Mujibur Rahman Birthday :
শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ লুৎফুর রহমান, মাতা সায়েরা খাতুন, শেখ মুজিব তাঁর পিতা-মাতার তৃতীয় সন্তান, শেখ মুজিবুর রহমানের নাম রাখেন তাঁর নানা শেখ আবদুল মজিদ, ছোটোবেলায় বঙ্গবন্ধুর নাম ডাক নাম ছিল খোকা’ ছোটোবেলা থেকেই তিনি সাধারণ মানুষ ও ‘গরিব-দুঃখী মানুষদের প্রতি ছিলেন সহানুভূতিশীল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জীবনী – সম্পূর্ণ তথ্য – Sheikh Mujibur Rahman Biography in Bengali – Full Details
নাম (Name) | শেখ মুজিবুর রহমান (Sheikh Mujibur Rahman) |
জন্ম ( Birthday) | ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ ( 17th March 1920) |
জন্মস্থান (Birthday Place) | ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। |
পিতা ও মাতা, অভিভাবক (Parents) | পিতা শেখ লুৎফুর রহমান, মাতা সায়েরা খাতুন, |
ধর্ম | (মুসলিম) |
কর্ম – | বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ |
পরিচিতির কারণ | ( জাতির পিতা ) Father of the Nation Bangabandhu |
সমাধিস্থল- | টুঙ্গিপাড়ায় |
মৃত্যু (Death) | ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সালের (15 August 1975) |
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের শিক্ষাজীবন – Sheikh Mujibur Rahman Birthday :
১৯২৭ সালে ৭ বছর বয়সে বঙ্গবন্ধু শিক্ষাজীবন শুরু হয়। গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে, এর দুই বছর পর ১৯২৯ সালে ৯ বছর বয়সে তিনি গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন। এর দুই পর পিতার সরকারী চাকরীর বদলিগত কারণে ১৯৩১ সালে তিনি মাদারীপুর ইসলামিয়া স্কুলে চতুর্থ শ্রেনীতে ভর্তি হন এবং ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত এখানেই পড়াশুনা করেন ১৯৩৪ সালে তিনি বেরিবেরি নামক জটিল রোগে আক্রান্ত হন এবং পরবর্তীতে আরো কিছু জটিল রোগ ধরা পরায় তিনি চার বছর বিদ্যালয়ে যেতে পারেননি সুস্থ হবার পর তিনি ১৯৩৮ সালে গোপালগঞ্জে মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেনীতে ভর্তি হন, এবং পরবর্তীতে ১৯৪২ সালে গোপালগঞ্জ মিশনারী স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। ১৯৪৪ সালে তিনি কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ থেকে আই.এ এবং তারপর তিনি 1947 সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাস সাবজেক্ট নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে ভারত বিভাজনের পর শেখ মুজিবুর রহমান আইন বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের রাজনৈতিক জীবন – Sheikh Mujibur Rahman Political life :
মথুরানাথ স্কুলে পড়ার সময় থেকেই শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল। 1938 সালে এ.কে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্কুলটি পরিদর্শনে এসেছিলেন সেই সময় শেখ মুজিবুর রহমান স্কুলের ছাত্র সংস্কারের দাবিতে তার দল নিয়ে পথ অবরোধ করেন। এই ভাবেই তার নেতৃত্বে সূচনা হয়। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে শেখ মুজিবুর রহমান নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দিয়েছিলেন এবং1943 খ্রিস্টাব্দে মুসলিম লীগের সঙ্গে যোগ দেন। সেই সময় শেখ মুজিবুর রহমানের আন্দোলনের মুখ্য বিষয় ছিল একটি পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠাতা করা। এবং তারপর তিনি ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম লীগের কাউন্সিলিং হিসেবে নির্বাচিত হন। 1988 খ্রিস্টাব্দে ফরিদপুর বাসীদের নিয়ে গঠিত ফরিদপুর ডিসট্রিক্ট অ্যাসোসিয়েশনে মনোনীত হন। এবং দুই বছর পর তিনি ইসলামিয়া কলেজে ছাত্র ইউনিয়নের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। এবং 1948 খ্রিস্টাব্দে 8 ঠা জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানি মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠাতা করেন। এই মুসলিম ছাত্রলীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের পারিবারিক জীবন – family life Sheikh Mujibur Rahman :
1938 সালে শেখ মুজিবুর রহমান বেগম ফজিলাতুন্নেসার কে বিয়ে করেন। এবং তাদের দুই কন্যা সন্তান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তাদের তিন পুত্র সন্তান শেখ জামাল, শেখ কামাল ও শেখ রাসেল।
আন্দোলন – Language Movement :
ভারত ও পাকিস্তান বিভাজনের ফলে পূর্ব পাকিস্তানের পশ্চিম পাকিস্তানী দুই জাতের জাতের মধ্যে ভাষা ভেদাভেদ সৃষ্টি হয়। পাকিস্তান সরকার উর্দু ভাষাকে জাতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দানের কথা ঘোষণা করলে পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের বাংলা ভাষা মানুষেরা বাংলা ভাষার অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য শুরু হয় ভাষা আন্দোলন । এবং বাংলাদেশের বাঙালিরা নিজের ভাষায় অস্তিত্ব রাখতে এই আন্দোলনের বিরোধ করেন। শেখ মুজিবুর রহমান এই স্বৈরাচারী পরিকল্পিত জুলুম-মূলক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলনের সূচনা করেন। তার নেতৃত্বে ‘সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ’ গড়ে ওঠে। ১১ই মার্চ হরতাল চলাকালীন সচিবালয়ের সামনে থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন। তারপর ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারী খাজা নাজিমউদ্দীন পুনরায় ঘোষনা করে “পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা হবে উর্দু”। এই ঘোষণার পর থেকেই বন্দি থাকা অবস্থায় ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন করার জন্য পরিষদকে আহবান জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এবং 16 ই ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জেলখানায় অনশন শুরু করেন। 21 শে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষার দাবিতে ছাত্র ও জনতা ঢাকার রাজপথে মিছিল শুরু করে । ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করায় পুলিশ তাদের উপর গুলি চালায়। এবং পুলিশের এই গুলিতে অনেকেই শহীদ হন । তাদের মধ্যে অন্যতম শহীদগন হলেন রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার সহ অনেকেই। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় শেখ মুজিবুর রহমান এবং তিনি ১৩ দিন অনশন করেন। এরপর তিনি ২৬ শে ফেব্রুয়ারি মুক্তি লাভ করেন। প্রবল আন্দোলনের মুখে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা – Establishment of Awami League :
মাওলানা ভাসানী ও সোহরাওয়াদীর কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ লীগ গঠন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মুসলিম লীগ ছেড়ে দেয়। আওয়ামী লীগ ১৯৩৯ সালে গঠিত হলে মুজিবর যুগ্ম সম্পাদকের পদ লাভ করেন এবং ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে শেখ তিনি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। একই বছরে তিনি ১৪ই নভেম্বর সাধারণ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য অন্যান্য দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 1954 খ্রিস্টাব্দে দশই মার্চ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং এই সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট 237টি আসনের মধ্যে তিনি 223 টি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। এবং তাকে বন ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২৯ শে মে যুক্তফ্রন্টকে ভেঙ্গে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার এবং ৩০ শে মে ঢাকার রাজপথে ফেরার সময় শেখ মুজিবুর রহমান নাটক করা হয়। দীর্ঘ 7 মাস ৩০ শে ডিসেম্বর শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দেওয়া হয়। এবং পরবর্তীকালে 1955 খ্রিস্টাব্দে 5 ই জুন আইন পরিষদের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হয় । তিনি নিযুক্ত হওয়ার পর পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ২১ দফা দাবি পেশ করেন।
ছয় দফা দাবী – Six Point Demands :
১৯৬৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারী লাহোরে বিরোধী দলসমূহের একটি জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনেই শেখ মুজিব তার ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি পেশ করেন যাতে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের পরিপূর্ণ রূপরেখা বর্ণিত হয়েছিল, শেখ মুজিব এই দাবিকে “আমাদের বাঁচার দাবি” শিরোনামে প্রচার হয়েছিল। এই দাবিটির মূল উদ্দেশ্য ছিল দুর্বল কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে পরিচালিত পাকিস্তানি ফেডারেশনে পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ব স্বায়ত্তশাসন । এই দাবিটি পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনীতিবিদরা প্রত্যাখ্যান করেন এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা দাবির সমর্থনে পূর্ব বাংলায় ব্যাপকহারে গণ্য আন্দোলন শুরু হয়।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা – Agartala Conspiracy Case :-
সেনাবাহিনীর ধারায় আটক হয়ে শেখ মুজিবুর রহমান দুই বছর জেলে থাকার পর। 1968 খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে এবং আরো ৩৪ জন বাঙালি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে পরিচিত। এই মামলাটিতে উল্লেখ করা হয়েছিল যে বঙ্গবন্ধু সহ তার ৩৮ জন কর্মকর্তারা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে আগরতলা শহরে ভারত সরকারের সাথে এক বৈঠক করেন পাকিস্তানকে বিভক্ত করার জন্য। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান এই মামলাটিকে মিথ্যা আখ্যায়িত করে সর্বস্তরের মানুষের কাছে মুক্তির দাবিতে রাজপথে আন্দোলন শুরু করেন।
ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান – Mass uprising of 1969 :
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে দেশব্যাপী তীব্র গন আন্দোলন শুরু হয়ে যায় যা “ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান” নামে পরিচিত। মাসব্যাপী প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মুখে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে নেন এবং মুজিব সই অভিযুক্ত সকলকে মুক্তি দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ২৩ শে ফেব্রুয়ারী ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে এক সভার আয়োজন করে এবং এই সম্মেলনে শেখ মুজিব কে “বাঁঙ্গবন্ধু” উপাধি প্রদান করা হয়।
১৯৭১ এর ৭ মার্চের ভাষণ – Speech of March 7, 1971 :
১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে গঠিত আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে, নির্বাচনের ফলাফল পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে মেরুকরণের সৃষ্টি করে। পাকিস্তানের জুলফিকার আলি ভুট্টো শেখ মুজিবের স্বায়ত্তশাসন নীতির প্রবল বিরোধীতা করেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্সের ময়দানে এক জনসভায় লাখ লাখ জনতার সম্মুখে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন শেখ মুজিব। এই ১৮ মিনিটের ভাষণ তিনি স্বাধীনতার ডাক দেন এবং জনগনকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করেন তাঁর এই ভাষণে আপামর বাঙালি জাতি বৈপ্লবিক প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হন।
বাংলাদেশ ঘোষনা – Bangladesh declaration :
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন এবং মুজিব সহ অন্যান্য নেতাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। ২৫ শে মার্চের রাতে বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হয়। গ্রেপ্তারের পূর্বে ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার মোষনায় বলেন “এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান চালিয়ে যান, পাকিস্তানি সৈন্য উৎখাত করা এবং চূড়ান্ত বিষয়ে অর্জনের আগে পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক” বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সারা বাংলার জনমানুষের অংশগ্রহণে শুরু হয় মুক্তির জন্য
যুদ্ধ – War
আমাদের গর্বের মুক্তিযুদ্ধ, অবশেষে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সৈন্যবাহিনীর যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তান বাহিনী ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে। পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় এক স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, ১৯৭২ সালে ৮ জানুয়ারী শেখ মুজিবকে মুক্তি দেয় পাকিস্তানি শাসকবৃন্দ, তিনি ১৯৭২ এর ১০ জানুয়ারী বাংলাদেশে ফিরে আসে এবং প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
শোকাবহ ১৫ই আগস্ট – Mourning 15th August :
বঙ্গবন্ধুর জনকল্যাণমুখী ও রাজনৈতিক দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ যখন বিশ্ব মানচিত্রে একটি মর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে যাচ্ছে তখন ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট প্রত্যুষে একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবাহ সহ ব্যক্তিগত কর্মচারীদের হত্যা করে, কেবল তাঁর দুই কন্যা জার্মানিতে অবস্থান করার কারণে বেঁচে যান।
শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর রহস্য – The mystery of Sheikh Mujibur Rahman’s death :
১৯৭৫ সালে ১৫ ই আগস্ট দিনটি ভালো ছিল না। সেই দিনটি ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের শেষ দিন । ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ১৫ ই আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাসভবনে সপরিবারকের হত্যা করেন একদল দুষ্কৃতী।
শেখ মুজিবুর রহমানকে যে দুষ্কৃতীরা হত্যা করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম নাম গুলি হল :
i) মেজর একে এম মহিউদ্দিন আহমেদ। ii) মেজর বজলুল হুদা। iii) মেজর আজিজ পাশা। vi) রিসালদার মুসলিম উদ্দিন। v) কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান। vi) কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ। vii) লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম viii) লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান।
একদল দুষ্কৃতি বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাসভবনে হানা দেয় । বঙ্গবন্ধুর ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার জন্য প্রস্তুত হন। বঙ্গবন্ধু দরজা খুলে বারান্দায় বেড়িয়ে আসতেই দুষ্কৃতীরা তাকে ঘিরে ধরে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্যে করে বলে “তোরা কি চাস কোথায় নিয়ে যাবি আমাকে” এরপর বঙ্গবন্ধুকে সিডি থেকে নিচে নিয়ে আসার সময় বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে । বঙ্গবন্ধুর বুকে এবং পেটে ১৮ টি গুলি লাগে। বঙ্গবন্ধু নিথর দেহটা সিঁড়ির মধ্যে পড়ে থাকে। এবং সারা সিঁড়ি রক্তে ভেসে যায়।
বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিলেন তাদের পরিচয় :
i) মেজর একে এম মহিউদ্দিন আহমেদ :
এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন সেনা কর্মকর্তা। এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে হত্যা করেন। এবং পরবর্তী সময়ে ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। দীর্ঘ সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ২০০২ সালে তার আবেদন খারিজ করেন । এবং 2007 সালে 18ই জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে মাহিউদ্দিন আহমেদকে বহিষ্কার করা হয়। ২০০৭ সালে ১৩ই মার্চ মার্কিন ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এন্ডফোর্সমেন্ট তাকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশে পাঠায়। অবশেষে ২০১০ সালে ২৮ ই জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।
ii) মেজর বজলুল হুদা :
মেজর বজলুল হুদা ছিলেন একজন বাংলাদেশী সেনা কর্মকর্তা তিনি ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ১৫ ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিলে । বজলুল হুদা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ১৯৯১ সালে এক জনসভায় ভাষণে প্রকাশ্যে বলেছিলেন ” শেখ মুজিবর কে আমি নিজের হাতে গুলি করে হত্যা করেছি।কার সাধ্য আছে আমার বিচার করার।” এবং তিনি আরো বলেছিলেন ” এদেশের শেখ মুজিব হত্যার বিচার সেই দিন হবে যেদিন আমার হাতের তালুতে লোম গজাবে” অবশেষে দীর্ঘ একুশ বছর পর ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মা মামলার শুনানি শুরু হয়। ২০০৯ সালে ১৯ শে নভেম্বর অভিযুক্ত বজলুল হুদাকে বাংলাদেশী সুপ্রিম কোর্ট মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়। ২০১০ সালে ২৮ শে জানুয়ারি বজলুল হুদার ফাঁসি হয়।
iii) মেজর আজিজ পাশা :
মেজর আজিজ পাশা ছিলেন একজন বাংলাদেশের সেনা কর্মকর্তা। তিনি ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার অভিযুক্ত আসামী ছিলেন। ২০০০ সালের ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের হাইকোর্ট মেজর আব্দুল পাশাকে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করেন।
vi) রিসালদার মুসলিম উদ্দিন :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালে ১৫ ই আগস্ট রিসালদার মোসলেহউদ্দিন এবং কয়েকজন দুষ্কৃতীরা মিলে বঙ্গবন্ধুর সপরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। অবশেষে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৩৪ বছর পর ২০০৯ সালে ১৯ শে নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়। ২০১০ সালে ২৮শে জানুয়ারি রিসালদার মোসলেহউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর হয়।
v) কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান :
কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান ১৯৭৫ সালে ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারসহ হত্যা কাণ্ডে জড়িত ছিলেন। কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান ছিলেন একজন বাংলাদেশের সামরিক অফিসার। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে ও বাংলাদেশের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এবং ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের হাইকোর্ট কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমানকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন। অবশেষে ২০১০ সালে ২৮শে জানুয়ারি কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
vi) কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ :
কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের একজন পলাতক আসামি। তিনি ১৯৭৫ সালে ১৫ ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেন।
vii) লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম :
কর্নেল শরিফুল হক ডালিম ছিলেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর একজন সামরিক কর্মকর্তা। তার জন্ম ১৯৪৬ সালে। কর্নেল শরিফুল হক ডালিম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যার মামলার সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৮২ সালে ১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৮৮ সালের ৬ই মে পর্যন্ত বাংলাদেশের কনসুলেট জেনারেল ছিলেন।
viii) লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান :
লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ছিলেন একজন বাংলাদেশী সেনা কর্মকর্তা। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা কান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান। ১৯৭৫ সালে নভেম্বর মাসে জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নেতাকে কারাগারে হত্যা করেন। এই হত্যাকাণ্ডের পর পরবর্তী সময়ে ২০০৪ সালে এই মামলার শুনানি শুরু হয় এবং তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১০ সালে ২৮শে জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কারণে তাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
উপসংহার:
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে যার নাম উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো দীপ্যমান তিনি বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর দূরদর্শীতা ও সঠিক নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজ স্বাধীন, তিনিই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি জাতির জনক, এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা বা জাতির জনক বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
FAQ – Sheikh Mujibur Rahman Biography in Bengali – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জীবনী – বাংলা এফএকিউ
প্রশ্ন: শেখ মুজিবুর রহমান কে কে গুলি করে ছিল ?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা গুলি করে হত্যা করেছিল তাদের নামগুলি হল – i) মেজর একে এম মহিউদ্দিন আহমেদ। ii) মেজর বজলুল হুদা। iii) মেজর আজিজ পাশা। vi) রিসালদার মুসলিম উদ্দিন। v) কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান। vi) কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ। vii) লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম viii) লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান।
১) শেখ মুজিবের বাবার নাম কি ?
উত্তরঃ শেখ লুৎফুর রহমান
২) বঙ্গবন্ধুর বড় সন্তানকে ?
উত্তরঃ শেখ কামাল
৩) শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম পরিচয়
উত্তরঃ শেখ মুজিবুর রহমান ১৯০২০ খ্রিস্টাব্দে 17 ই মার্চ রাত ৮ টায় ফরিদপুর জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে একটি বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
৪) বঙ্গবন্ধু মোট কতবার গ্রেফতার হন
উত্তরঃ ১৮ বার
৫) বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবর এর মায়ের নাম কি ?
উত্তরঃ সায়েরা খাতুন
৬) বঙ্গবন্ধুর কত সালে জন্ম গ্রহণ করেন ?
উত্তরঃ ১৯০২০ সালে 17 ই মার্চ
৭) বঙ্গবন্ধুর কত সালে মৃত্যু হয় ?
উত্তরঃ ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট
৮) শেখ মুজিবুর রহমান কতদিন বেঁচে ছিলেন ?
উত্তরঃ ৫৫ বছর
৯) শেখ মুজিবুর রহমান কবে মারা যান ?
উত্তরঃ ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট
১০) শেখ মুজিবুর রহমান কিভাবে মারা যান ?
উত্তরঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে একদল সামরিক সদস্য শেখ মুজিবুর রহমানকে তার সপরিবার সহ হত্যা করেন।
১১) বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য সংখ্যা কত ?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য ১৬ জন
১২) শেখ মুজিবুর রহমানের পিতার নাম কি ?
উত্তরঃ শেখ মুজিবুর রহমানের পিতার নাম শেখ লুৎফুর রহমান
১৩) শেখ মুজিবুর রহমানের মাতার নাম কি ?
উত্তরঃ শেখ মুজিবুর রহমানের মাতার নাম সায়েরা খাতুন
১৪) জাতির পিতা কাকে বলা হয় ?
উত্তরঃ শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা বলা হয়।
১৫) শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রীর নাম কি ?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রীর নাম বেগম ফজিলাতুন্নেছা
১৬) বাংলাদেশের জাতির জনক কে ?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জাতির জনক বলা হয় ।
১৭) বঙ্গবন্ধুর প্রথম সন্তানকে ?
উত্তরঃ শেখ কামাল
১৮) বঙ্গবন্ধু কত বছর বয়সে বিয়ে করেন ?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু ১৩ বছর বয়সে বিয়ে করেন ।
১৯) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত সালে জন্মগ্রহণ করেন ?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯০২০ খ্রিস্টাব্দে 17 ই মার্চ জন্মগ্রহণ করেন ।
২০) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ?
উত্তরঃ শেখ মুজিবুর রহমান ১৯০২০ খ্রিস্টাব্দে 17 ই মার্চ রাত ৮ টায় ফরিদপুর জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে একটি বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
২১) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি কারাগার থেকে কত সালে মুক্তি পান ?
উত্তর: ১৯৭২ সালে ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তি পান ।
২২) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মোট কত বছর কারাগারে কাটাতে হয়েছে ?
উত্তর: ১২ বছর
২৩) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের নাম কি ?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের নাম হল ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’
২৪) শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি কবে দেওয়া হয় ?
উত্তর: ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে ২৩শে ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয় ।
২৫) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সনের ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ কোথায় দেন ।
উত্তর: রেসকোর্স ময়দান
২৬) 1920 খ্রিস্টাব্দে ১৭ ই মার্চ দিনটি কি কারণে স্মরণীয় ?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস।
২৬) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছোটবেলায় কোন বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন ?
উত্তর: গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়
২৭) শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি প্রকাশ পায় ?
উত্তর: ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড
২৮) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন ?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিয়া কলেজের কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
২৯) জাতিসংঘের কততম সাধারণ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন ?
উত্তর: ২৯ তম
৩০) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবে 6 দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন ?
উত্তর: ৫ই ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে
৩১) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে কোন শহরের একটি সড়কের নাম রাখা হয়েছে
উত্তর: দিল্লি
৩২) OIC – এর কততম শীর্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অংশগ্রহণ করেন ?
উত্তর: দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে
৩৩) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম কত সালে গ্রেফতার হন ?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৩৮ সালে প্রথম গ্রেফতার হন ।
৩৪) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় অবস্থিত ?
উত্তর: ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত।
৩৫) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সামরিক জাদুঘর কোথায় অবস্থিত ?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সামরিক জাদুঘরটি ঢাকা, বিজয় সরণিতে অবস্থিত।
৩৬) বঙ্গবন্ধু সেতুটির দৈর্ঘ্য কত ?
উত্তর: দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিমি।
৩৭) বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ কিসের নাম ?
উত্তর: উপগ্রহের
৩৮) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন ?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
৩৯) বঙ্গবন্ধু কোন শহরে এবং কত সালে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন ?
উত্তর: আলজিয়াস
৪০) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন সালে ছয় দফা পেশ করেন?
উত্তর: ১৯৬৬ সালে
৪১) ঐতিহাসিক ছয় দফা কবে ঘোষণা হয় ?
উত্তর: ৫ই ফেব্রুয়ারি
৪২) ছয় দফা দাবি প্রথম কোথায় উত্থাপন করা হয় ?
উত্তর: ছয় দফা দাবি প্রথম লাহোরে উত্থাপন করা হয়েছিল।
৪৩) ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’- গ্রন্থের রচয়িতা কে ?
উত্তর: মাযহারুল ইসলাম
৪৪) মুক্তিযুদ্ধের উপর লিখিত গ্রন্থ ” আমার কিছু কথা” এর লেখক কে ?
উত্তর: শেখ মুজিবুর রহমান
৪৫) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের নাম কি ?
উত্তর: ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী‘
৪৬) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মায়ের নাম কি ?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মায়ের সায়েরা খাতুন।
৪৭) আমার দেখা নয়াচীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা কত তম প্রকাশিত গ্রন্থ
উত্তর: তৃতীয়তম
৪৮) বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ ২০২০ মোট কয়টি দল অংশগ্রহণ নিয়েছিল ?
উত্তর: ৫ টি
৪৯) ১৯৪৫ সালের যুক্তফ্রন্ট সরকারের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত বছর বয়সে মন্ত্রিসভার সদস্য হন ?
উত্তর: ৩৪ বছর
৫০) বঙ্গবন্ধুর গ্রামটি কোন নদীর তীরে অবস্থিত ?
উত্তর: বঙ্গবন্ধুর গ্রামটি বাইগার নদীর তীরে অবস্থিত ।
স্বামী বিভেকানান্দের জীবনী – Swami Vivekananda Biography in Bengali – Click Here
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীটি পরে খুব ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। এই পোস্টটি না পড়লে শেখ মুজিবুর রহমানের সম্পর্কে জানতে পারতাম না।
Sheikh mujibur rahaman biography ti pore khub valo laglo